Skip to main content

নীল আকাশের চিঠি

 নীল আকাশ লিখে চিঠি,

হাওয়ায় ভেসে আসে,
নদীর জলে পড়ে গিয়ে
তরঙ্গ তোলে হাসে।

পাহাড় চূড়ার সবুজ ঘাসে
সোনালি রোদ লুটায়,
শালিক পাখি ডানা মেলে
আকাশ পানে ছুটায়।

মেঘের দেশে হারিয়ে যাওয়া
কোথায় ছিলো স্বপন?
জলধারাতে পড়ে আছে
হৃদয় ভেজা কল্পন।

পথের ধারে কাশফুল নাচে
বাতাসেরই তালে,
জলছবির একলা নৌকা
যাচ্ছে কূলে কূলে।

নদীর ধারে শিউলি গন্ধে
ভোরের কুয়াশা ঢাকে,
বটগাছের ছায়ায় বসে
কেউ বা স্মৃতি আঁকে।

জীবন তো এক ভেসে যাওয়া
নদীর মত বয়ে,
আলো-ছায়ার খেলায় গড়া
স্মৃতির তরী হয়ে।

তবু সেই নীল আকাশে
রংধনুরে চিঠি,
সাজিয়ে রেখে বলবে যেন
হারিয়ে যেও না তুমি।

Comments

Popular posts from this blog

সমুদ্রের গান

 নীল জলরাশি ডাকছে আমায়, কেউ কি শোনে তার আহ্বান? তরঙ্গ উঠে, ছুটে যায় বয়ে, গায় যে এক গভীর গান। সাগর কূলের বালির দেশে, পদচিহ্ন রেখে যাই, আসে আবার জলের ঢেউ, স্মৃতিগুলো মুছে যায়। সন্ধ্যা বেলায় রঙিন আকাশ, লাল-সোনালি ছড়ায় আলো, সাগর যেন স্বপ্ন বুনে, তরঙ্গে ভাসে সোনার পালো। সমুদ্র ডাকে, কাছে টানে, শোনায় তার একলা সুর, মনের মাঝে জেগে থাকে, অজানা এক নীল রহস্যপুর।

নদীর কাব্য

 নদী বয়ে চলে আপন মনে, গভীর রহস্য স্রোতের তলে। কখনো শান্ত, কখনো উন্মাদ, গল্প বলে সে সারাক্ষণ নিরবধি সাধ। সকাল বেলায় রোদ্দুর মেখে, কাঁচা সোনার ছোঁয়া তার বুকে। পাখিরা আসে জল ছুঁয়ে যায়, তরঙ্গে বাজে সুর অজানায়। বর্ষার দিনে দুরন্ত সে হয়, স্রোতের বুকে জোয়ার বইয়ে রয়। তীরভাঙা সেই কান্নার সুরে, গাছপালা নাচে ভিজে জলধারে। পথিকের তৃষ্ণা মেটায় নদী, কৃষকের স্বপ্নে বয়ে যায় নিরবধি। শিশুরা খেলে কূলে-কূলে, তাদের হাসি মিশে যায় জলে। কখনো ক্লান্ত, কখনো ধীরে, অবিরাম চলে সাগরের তীরে। নদী যে কবিতা, নদী যে গান, প্রকৃতির বুকে এক চিরকালীন প্রাণ। 1/2 4o

ভ্রান্তি

ভ্রান্তি ছিল, বিশ্বাস ছিল, এ পৃথিবী ছিল এক চিরন্তন সাজ, তবে স্বপ্নের মায়ায় বুঁদ হয়ে হঠাৎ দেখলাম—একটি ভুল পথের সাজ। যে পথটা আঁকা ছিল সোনালী, সে পথেই ছিল অন্ধকার, তবে আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, মনে হয়েছিল, স্বপ্নটাও ছিল মিথ্যা। ভ্রান্তি, তুমি যে আমার সঙ্গী ছিলে, আমার অদৃশ্য আলোর মতো, তুমি এসে ঠেলে দিলে সামনে, একটা মরীচিকার মতো। এখন বুঝি, ভ্রান্তি যে ছিল, ভালবাসার চেয়েও সত্যি, তবুও, তোর সঙ্গেই যেন ছিল এক অদ্ভুত শান্তি, এক মিথ্যা সুখ।